বুধবার ৩রা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আইপিও তহবিল থেকে ৩০ কোটি টাকা চায় রিং শাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | 123 বার পঠিত | প্রিন্ট

আইপিও তহবিল থেকে ৩০ কোটি টাকা চায় রিং শাইন

ব্যবসা চালানোর জন্য প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) তহবিল থেকে আরও ৩০ কোটি টাকা চেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেড। বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠানটি এই অর্থ অনুমোদনের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করেছে।

জানা যায়, শেয়ারবাজার থেকে ২০১৯ সালে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে সংগৃহীত ১৫০ টাকার মধ্যে কোম্পানটি ইতোমধ্যে ৯০ কোটি টাকা খরচ করেছে। এবার আরও ৩০ কোটি টাকা খরচ করতে চায়। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা কারখানায় কোম্পানিটি গত বছর ৫০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধে এবং ৪০ কোটি টাকা নগদ পুঁজি হিসাবে ব্যয় করেছে।

প্রতিষ্ঠানটি এখন বলছে উৎপাদন ও বিক্রয় অব্যাহত রাখতে আরও ৩০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই টাকা থেকে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ছাঁটাই করা শ্রমিকদের বকেয়া বাবদ ২২ কোটি টাকার মধ্যে ১০ কোটি টাকা পরিশোধ করবে। আর কোম্পানিটি তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির মোট বকেয়া ৮ কোটি টাকার বিপরীতে ১ কোটি টাকা পরিশোধ করবে।

এদিকে, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেপজা) আরও সাড়ে ৯ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। বেপজার কাছে প্রতিষ্ঠানটির বকেয়া রয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।

রিং শাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেপজা কোম্পানিটিকে কমপক্ষে ২০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করতে বলেছে। অন্যথায়, বেপজা কোম্পানির রপ্তানি-আমদানি পারমিট স্থগিত করে দেবে। যার ফলে কোম্পানিটির উৎপাদন ফের বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এছাড়া মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ৫ কোটি টাকা এবং ব্যাংক ঋণ পুনর্র্নিধারণে ৪ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।

রিং শাইনের নতুন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বলেন, কোম্পানিটি চালু থাকলেও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, আইপিও তহবিলের একটি অংশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য চাওয়া হয়েছে এবং কোম্পানির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য আমাদের সমর্থন প্রয়োজন।

গত বছরের জানুয়ারিতে বিএসইসি রিং শাইন টেক্সটাইলের উৎপাদন পুনরায় শুরু করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। পুনর্গঠতি পর্ষদে পাঁচ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালকের সঙ্গে সাত জন স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। এরপর ১৩ জুন কারখানাটি ২৫ শতাংশ ক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরে। এর আগে কোভিড-১০ মহামারীর কারণে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কারখানাটির উৎপদান বন্ধ হয়ে যায়। কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি, বিদেশী ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার কমে যাওয়া এবং আমদানিকৃত কাঁচামালের ঘাটতির কারণে সেই সময়ে কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়।

সর্বশেষ কোম্পানিটি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ১ শতাংশ ক্যাশ ও ১ শতাংশ স্টক ডিভিডেনন্ড দিয়েছিল। এরপর কোম্পানিটি আর কোন আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি।
শেয়ারবাজার২৪

 

Facebook Comments Box

Posted ২:০৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২

sharebazar24 |

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
মো. সিরাজুল ইসলাম সম্পাদক
মো. মহসিন হোসেন উপদেষ্টা সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

৬০/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

হেল্প লাইনঃ 01742-768172

E-mail: [email protected]