নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০২ মার্চ ২০২২ | 202 বার পঠিত | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলোর শেয়ারবাজারের সাথে সমন্বয় রেখে বাংলাদেশের শেয়ারবাজারেও টি+১ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এজন্য দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে টি+৩ থেকে টি+১ চালু করার বিষয়ে সুনিদিষ্ট পরিকল্পনা চেয়েছে বিএসইসি।
গতকাল মঙ্গলবার (১ মার্চ) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) ডিএসই ও সিএসই সঙ্গে আলোচনা সভা করে। সভায় বিএসইসির পক্ষ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জগুলোকে আগামী সপ্তাহের মধ্যে পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করাসহ সব ধরনের সমস্যা-সমাধানের তুলে ধরার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কোন কোন দেশে টি+১ চালু রয়েছে সে তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার গণ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শেয়ারবাজারে টি+১ কীভাবে চালু করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরিকল্পনা উপস্থান করার নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। এর পর বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ডিএসইর সিওও আরও বলেন, লেনদেনের ক্ষেত্রে টি+১ চালু এখনও পৃথিবীর অনেক দেশেই নাই। তারপরেও আমরা বিষয়টি নিয়ে স্ট্যাডি করতেছি। এরপর বিষয়গুলো কমিশনের কাছে উপস্থাপন করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা যায়, এর আগে গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের পক্ষ থেকে শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ থেকে কমিয়ে টি+১ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে লেনদেনের টি+১ চালু হলেও সেখান থেকে বাদ যাবে জেড ক্যাটাগরি শেয়ার। লেনদেনে টি+১ চালু হলে বিনিয়োগকারীরা সিকিউরিটিজ কেনার পরের দিনই বিক্রি করতে পারবেন।
বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ সহজলভ্য করতে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+১ চালু করতে যাচ্ছে কমিশন। বর্তমানে শেয়ারবাজারে লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+৩ চালু আছে। এর ফলে সিকিউরিটিজ ক্রয়ের তৃতীয় দিনে তা বিক্রি করা যায়। লেনদেন নিষ্পত্তির এই সময়ের ব্যবধান কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তিনি আরও বলেন, সবার জন্য সহায়ক একটি আন্তর্জাতিক মানের শেয়ারবাজার গড়ে তোলার লক্ষ্যে টি+১ সেটেলমেন্ট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এর মাধ্যমে বাজারে অর্থের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশিসহ সব বিনিয়োগকারীর জন্য শেয়ারবাজার সুগম হবে। এছাড়া, সবার সময় ও ব্যয় কমে আসবে।
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে উৎসাহে দেখা যাচ্ছে ।
বিনিয়োগকারীরা বলছে টি+১ চালু হলে শেয়ার কেনার পরের দিন আবার বিক্রি করা যাবে। এতে করে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বেড়ে যাবে। লেনদেনের পরিমাণ বাড়লে সেটি বাজারের জন্য সব সময় ভালো। এতে করে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আর বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়লে বাজার আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
শেয়ারবাজার২৪
Posted ৮:২৬ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০২ মার্চ ২০২২
sharebazar24 | sbazaradmin
.
.