সোমবার ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্বল মনিটরিংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির আধিপত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১ | 637 বার পঠিত | প্রিন্ট

দুর্বল মনিটরিংয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কোম্পানির আধিপত্য

শেয়ারবাজারে দুর্বল মনিটরিংয়ের কারণে চাঙ্গা বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানি। দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রায় প্রতিদিনই এগিয়ে থাকে অতি দুর্বল ও ঝুুঁকিপূর্ণ কোম্পানিগুলো। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) সে ধারা অব্যহত রয়েছে। আজ সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে প্রথম ১০টির মধ্যে ৭টিই ছিল দুর্বল ও ঝুঁকিপুর্ণ কোম্পানি। এগুলো হল- ফার্স্ট ফাইন্যান্স, জুট স্পিনার্স, বিআইএফসি, স্টাইল ক্র্যাফট, জাহিন টেক্সটাইল, শ্যামপুর সুগার এবং সাফকো স্পিনিং। এর মধ্যে ৪টি কোম্পানিই পুঁঞ্জিভুত লোকসানে রয়েছে। এগুলে হলো- ফার্স্ট ফাইন্যান্স, জুট স্পিনার্স, বিআইএফসি এবং শ্যামপুর সুগার। আজ দর বাড়ার ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ করে দর বেড়েছে ফার্স্ট ফাইন্যান্স, জুট স্পিনার্স, বিআইএফসি এবং ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্সের। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শীর্ষে ছিল ফার্স্ট ফাইন্যান্স। এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির দর আগের দিনের তুলনায় ৮০ পয়সা বা ১০ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৮ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়, যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির ২১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৮০টি শেয়ার ৪৮৭বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য এক কোটি ৮৩ লাখ ২৬ হাজার টাকা। গত ৫ কার্যদিবস ধরেই কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে।

২০০৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আর্থিক খাতের ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০০ কোটি টাকা ও ১১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ১৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৭৮ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৬২ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৯০ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ৬ টাকা ২৪ পয়সা।

জুন স্পিনার্স : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে শীর্ষে ২য় স্থানে ছিল জুট স্পিনার্স। এদিন ডিএসইতে কোম্পানিটির দর আগের দিনের তুলনায় ১৫ টাকা ৮০ পয়সা বা ১০ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ১৭৩ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়, যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির ৩৫ হাজার ৭৬৮টি শেয়ার ২৪০বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৬১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। গত ৭ কার্যদিবস ধরেই কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে।

১৯৮৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া পাট খাতের ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ও এক কোটি ৭০ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ২৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১১ টাকা ১৬ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১১ টাকা ১৬ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ১১ টাকা ৫১ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য লোকসান ৩৮২ টাকা ৮১ পয়সা।

বিআইএফসি : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে এ কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের তুলনায় ৭০ পয়সা বা ১০ শতাংশ বেড়ে সর্বশেষ ৭ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়। এর ফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৩৩টি শেয়ার ১৭৯বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৩৪ লাখ ৭ হাজার টাকা।

২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া আর্থিক খাতের ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৪০০ কোটি টাকা ও ১০০ কোটি ৬৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৭৬৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান এক টাকা ৭১ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ টাকা ৭ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে এক টাকা এক পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য লোকসান ৮৪ টাকা ২৪ পয়সা।

স্টাইল ক্র্যাফট : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৫ নম্বরে থাকা এ কোম্পানির দর আগের দিনের তুলনায় ১৬টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৯ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ১৮৫ টাকায় লেনদেন হয়। এর ফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির এক লাখ ৩৪ হাজার ৯২৩টি শেয়ার ৩৫৯বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ২ কোটি ৪৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা।

১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বস্ত্র খাতের ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা ও ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ২০ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২০ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৮৯ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে এক টাকা ৮ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ২৩ টাকা ৯৫ পয়সা।

জাহিন টেক্সটাইল : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৭ নম্বরে থাকা এ কোম্পানির দর আগের দিনের তুলনায় এক টাকা বা ৯.৯০ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ১১ টাকায় ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। এর ফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির ৩৯ লাখ ১৬ হাজার ১৯০টি শেয়ার ৭৮৮বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ২৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা।

২০১১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বস্ত্র খাতের ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১২০ কোটি টাকা ও ৮১ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৪২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৬০ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ৭১ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে এক টাকা ২২ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৬ টাকা ১৯ পয়সা।

শ্যামপুর সুগার : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৮ নম্বরে থাকা এ কোম্পানির দর আগের দিনের তুলনায় ৬ টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৭২ টাকা ৬০ পয়সায় লেনদেন হয়, যা গত ২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির এক লাখ ২৯ হাজার ৮৭১টি শেয়ার ৩৪১বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৯৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। গত ৫ কার্যদিবস ধরেই কোম্পানিটির ধারাবাহিকভাবে দর বাড়ছে। গত ৫ কার্যদিবসে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা বা ৪০.৯৯ শতাংশ।

১৯৯৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ৫০ কোটি টাকা ও ৫ কোটি টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির পুঁঞ্জিভুত লোকসানের পরিমাণ ৪৯৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২৫ টাকা ১৫ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২৫ টাকা ১৫ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ২৮ টাকা ৪৮ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য লোকসান এক হাজার ৬৭ টাকা ৭ পয়সা। কোম্পানিটির মোট ৫০ লাখ শেয়ারের মধ্যে সরকার ৫১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ০.৯৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪৮.০৬ শতাংশ রয়েছে। কোম্পানিটি তালিকাভুক্তির পর কোনো ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেনি।

সাফকো স্পিনিং : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসেও (১৬ আগস্ট) ডিএসইতে দর বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ১০ নম্বরে থাকা এ কোম্পানির দর আগের দিনের তুলনায় ২ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ দর বেড়ে সর্বশেষ ৩২ টাকায় ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়। এর ফলে এদিন কোম্পানিটি সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করে হল্টেড হয়ে যায়। এদিন কোম্পানিটির ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৩৬২টি শেয়ার ৩২৭বার হাতবদল হয়, যার বাজারমূল্য ৩ কোটি ৪ লাখ ৫২ হাজার টাকা।

২০০০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া বস্ত্র খাতের ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত ও পরিশোধিত মূলধন যথাক্রমে- ১০০ কোটি টাকা ও ২৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বর্তমানে কোম্পানিটির রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। গত তিনটি প্রান্তিকেই ধারাবাহিকভাবে কোম্পানিটির লোকসান দেখিয়েছে। এর মধ্যে- প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ টাক ৯ পয়সা, দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান ২ টাকা ৩৪ পয়সা এবং তৃতীয় প্রান্তিকে ৫ পয়সা। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে কোম্পনিটির পিই রেশিও নেই। যে কারণে কোম্পানিটি বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৬ টাকা ৮৮ পয়সা।

বাজার সংশ্লিষ্টরদের মতে, অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমান বাজারে সূচক অনেক উচুতে অবস্থান করছে, এটা খুশির কথা হলেও শঙ্কাও রয়ে গেছে। কারণ বর্তমানে দুর্বল কোম্পানির দরে উপর ভিত্তি করে সূচকের এই উত্থান। যে কারণে এ বাজার আবার পড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক কোন বিষয় না। প্রকৃতপক্ষে বাজারে যে মনিটরিং দর তা সেভাবে করা হচ্ছেনা। মনিটরিংয়ের অভাবেই দুর্বল কোম্পানি আধিপত্য বিস্থার করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার উচিত কেন এসব দুর্বল কোম্পানির দর বাড়ছে তা খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যদি ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন বড় মূলধনী লাভজনক কোম্পানিকে ঘিরে সূচকের উত্থান হতো তবে তার স্থায়িত্ব থাকতো। কিন্ত দুর্বল কোম্পানির উপর ভিত্তি করে সূচক বৃদ্ধি পাওয়াটা বাজারের জন্য ইতিবাচক নয়।

শেয়ারবাজার২৪

Facebook Comments Box

Posted ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৭ আগস্ট ২০২১

sharebazar24 |

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বু বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০৩১  
মো. সিরাজুল ইসলাম সম্পাদক
মো. মহসিন হোসেন উপদেষ্টা সম্পাদক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

৬০/১, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০

হেল্প লাইনঃ 01742-768172

E-mail: [email protected]