বিদায়ী সপ্তাহে (১৯ ফেব্রুয়ারি’২৩-২৩ ফেব্রুয়ারি’২৩) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০ খাতের মধ্যে ১৪ খাতের শেয়ারদর কমেছে। দর কমাতে ১৭ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে রয়েছেন। খাতগুলো হলো- আর্থিক, বস্ত্র, সাধারণ বিমা, জীবন বিমা, পেপার ও প্রিন্টিং, ওষুধ ও রসায়ন, পাট, সিমেন্ট, বিবিধ, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, প্রকৌশল খাত, চামড়া খাত সেবা ও আবাসন, সিরামিক এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক। একই সময়ে ২ খাতের শেয়ারদর বেড়েছে। দর বাড়াতে ২ খাতের বিনিয়োগকারীরা সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় রয়েছেন। লংকাবাংলা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লোকসানে রয়েছে প্রিন্টিং ও অবকাশ খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান গুণছেন ৮.১৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লোকসান হয়েছে তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের বিনিয়োগকারীদের। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসনা গুণছেন ৫.৫৪ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ লোকসানে রয়েছে জীবন বীমা ও পাট খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা লোকসান হয়েছে ৩.২৭ শতাংশ।

এছাড়া, সাপ্তাহিক রিটার্নে লোকসানে থাকা অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে- ব্যাংক খাতে ০.০১ শতাংশ, সিমেন্ট খাতে ০.০৮ শতাংশ, সিরামিক খাতে ২.১৫ শতাংশ, প্রকৌশল খাতে ০.১৭ শতাংশ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে ০.২৭ শতাংশ, বিদ্যুত ও জ¦ালানি খাতে ০.১০ শতাংশ, লাইফ ইন্স্যুরেন্স খাতে ১.৫৪ শতাংশ, বিবিধ খাতে ০.৯০ শতাংশ, আর্থিক খাতে ০.০৪ শতাংশ, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ০.৪৯ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে ২.৫৫ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ০.৬১ শতাংশ এবং চামড়া খাতে ২.৫৬ শতাংশ।

এদিকে, সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় থাকা খাতগুলো হলো: মিউচুয়াল ফান্ড ও ভ্রমণ ও অবকাশ।

খাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফায় রয়েছেন মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বিনিয়োগকারীরা। এই খাতের বিনিয়োগকারীরা মুনাফায় রয়েছে ০.৩৪ শতাংশ। একই সময়ে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে দর বেড়েছে ০.৯৯ শতাংশ। এছাড়া, টেলিকমিউনিকেশন খাতের দর অপরিবর্তিত ছিল।

শেয়ারবাজার২৪